Tuesday, March 26, 2019

বিসিএস প্রস্তুতি(ভাষা আন্দোলন (১৯১১-১৯৫৬))

এক নজরে ভাষা আন্দোলন (১৯১১-১৯৫৬)

.
যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে সংগঠিত ভাষা আন্দোলনটি একদিনের অর্জন নয়। এই জন্য অনেক আগে থেকেই একটি ধারাবাহিক সংগঠিত আন্দোলন চলে আসছিল। সেই ধারাবাহিক আন্দোলনের কিছু ঘটনা আমার এই লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
১৯১১ঃ সৈয়দ নওয়াব আলি চৌধুরি রংপুর মুসলিম প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মিলনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জোর দাবী করে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি এর পেছনে যুক্তিগুলোও তুলে ধরেন। তিনি ঐ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন ‘বাংলাভাষা আমাদের মাতৃভাষা’।
১৯১৮ঃ বিশ্বভারতীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের সাধারণ ভাষা হিসেবে রবি ঠাকুরের প্রস্তাব করা হিন্দি’র বিরোধিতা করে বাংলাভাষার দাবি পেশ করেন।
১৯২১ঃ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার লিখিত প্রস্তাব দেন সৈয়দ নওয়াব আলি চৌধুরি।
১৯৩৭ঃ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়।
১৯৪৭ঃ পুর্ব পাকিস্তানে বাংলা সাহিত্য আন্দোলনকে অব্যাহত রাখতে ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সেপ্টেম্বর,১৫ঃ তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পুস্তক ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু’ প্রকাশিত হয়। উক্ত পুস্তকে অধ্যাপক কাজী মোতাহের হোসেন, ইত্তেহাদ সম্পাদক আবুল মন্সুর আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাসেম – এর লেখা সন্নিবেশিত হয়েছিল।
১৯৪৭ নভেম্বর,১২ঃ ফজলুল হক মুসলিম হলে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবিতে তমদ্দুন মজলিসের সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভপতিত্ব করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রি হাবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রি সৈয়দ মোহাম্মদ আফজাল, কবি জসীম ঊদ্দীন, কাজী মোতাহের হোসেন, আধ্যাপক আবুল কাসেম, ডক্টর এনামুল হক, আবুল হাসনাত প্রমুখ।
১৯৪৭, ডিসেম্বর ৬ঃ পাকিস্তান সৃষ্টির ১১৪ দিনের মাথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বেলতলায়’ অধ্যাপক আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
১৯৪৮ ফেব্রুয়ারি ২৫ঃ এই দিনে পাকিস্তান গণ পরিষদে কুমিল্লা হতে নির্বাচিত সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত কর্তৃক উত্থাপিত বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অগ্রাহ্য হয়।
১৯৪৮ মার্চ ০২ঃ ভাষা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ সম্প্রসারন ও পুনর্গঠন করা হয়। তমদ্দুন মজলিস কর্মী জনাব শামসুল হককে সম্প্রসারিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। এই সভায়ই ৭ মার্চ ঢাকা ও ১১ মার্চ সারাদেশে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৪৮ মার্চ ১১ঃ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রদেশ ব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঢাকায় সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সলিমুল্লাহ হলের ভিপি আব্দুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটং করার সময় পুলিশ ছাত্রদের ভীষণ মারধর করে। সেদিন পিকেটিং এ অংশ নেনে শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, আব্দুর রহমান চৌধুরী, কাজী গোলাম মাহবুব, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান, গোলাম আযম, খালেক নেওয়াজ, শামসুল আলম, আজিজ আহম্মদ, ডাঃ মিয়া মাযহারুল ইসলাম, নঈমুদ্দীন এবং বায়তুল্লাহ প্রমূখ।
পিকেটং এর প্রথম পর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও পরে কাজী গোলাম মাহবুব গ্রেপ্তার হন। একই দিন তখনকার ডাকসু জি এস গোলাম আযম সহ আরও ১০/১২ গ্রেপ্তার হন। বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়।
১৯৪৮ মার্চ ২১ঃ এই দিন বিকেলে ঢাকার রেইসকোর্স ময়দানে বিশাল নাগরিক সংবর্ধনায় কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর ভাষনে বলেন, ‘উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোন ভাষা নহে‘।
১৯৪৮ মার্চ ২৪ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কনভোকেশন অনুষ্ঠানে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর ভাষনে পুনরায় উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার ঘোষণা দেন। ভাষণের মাঝখানে ছাত্রদের মধ্য থেকে ‘নো নো’ প্রতিবাদ ধবনি ওঠে।
এই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধি দলকে কায়েদে আজম সাক্ষাত দান করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
১৯৪৮ নভেম্বর, ১৪ঃ তমদ্দুন মজলিসের বিপ্লবী মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক ‘সৈনিক’ আত্মপ্রকাশ করে। ভাষা আন্দোলনে এটি অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করে। আত্মপ্রকাশের সময় ‘সৈনিক’-এর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন জনাব শাহেদ আলী ও জনাব এনামুল হক। এর পেছনে মূল ভূমিকা ছিল আধ্যাপক আবুল কাসেমের।
১৯৪৮ নভেম্বর, ২৭ঃ পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ডাকসু নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রভাষা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
১৯৫০ মার্চ ১১ঃ এই দিনে ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জনাব আবদুল মতিন এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়।
১৯৫০ এপ্রিলঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম কমিটি পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্যদের কাছে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
১৯৫২ জানুয়ারি ২৭ঃ ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি খাজা নাজিমুদ্দীনের ঘোষণা করেন ‘প্রদেশের রাষ্ট্রভাষা কী হবে তা প্রদেশবাসীই স্থির করবেন, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।’
১৯৫২ জানুয়ারি ৩১ঃ এই দিন বিকেলে ভাষা আন্দোলন পরিচালনার জন্য ঢাকা জেলা লাইব্রেরি হলে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে এক সভায় ৪০ জনেরও বেশি সদস্য নিয়ে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ গঠিত হয়। কর্ম পরিষদের সভায় ০৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ধর্মঘট ও ২১ ফেব্রুয়ারি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ হরতাল ও বিক্ষোবের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ০৪ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ০৬ঃ পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবির অফিস ১৫০ নং মোগলটুলীতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি হরতাল সফল করতে সর্বাত্মক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২০ঃ ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। এক মাসের জন্য সভা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়।
১৪৪ ধারা জারীর প্রেক্ষিতে ২১ শে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচী সফল করার ব্যপারে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ৯৪ নওয়াবপুর রোড পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সদর দপ্তরে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর সভা বসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব আবুল হাশিম। সভায় ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের উপর ভোট গ্রহন করা হলে অলি আহাদ, শামসুল আলম, আবদুল মতিন, গোলাম মাওলা প্রস্তাবের বিপক্ষে অর্থাৎ ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে ভোট দেন। অলি আহাদ ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে বলিষ্ঠ বক্তব্য রাখেন। মোহাম্মদ তোহায়া ভোট ডানে বিরত থাকেন। এই সভায় নিরঙ্কুশ ভোটে ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত পাশ হয়।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসমাজ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকার করে। ক্যাম্পাসে গভীর রাত্র পর্যন্ত ২১ শে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচী সফল করার প্রস্তুতি চলতে থাকে।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২১ঃ বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় ঐতিহাসিক ছাত্রসভা শুরু হয়। পূর্ব ব্যবস্থা অনুযায়ী সভাপতিত্ব করেন গাজীউল হক। ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা কর্ম পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে জনাব শামসুল হক তার বক্তব্যে ১৪৪ ধারা না ভাঙ্গার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ছাত্রদের বুঝাবার চেষ্টা করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য রাখেন।
শেষে সভাপতির ভাষণে গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার আহ্বান জানিয়ে তেজোদীপ্ত বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যের পর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রথমে ছাত্ররা রাস্তায় বের হবার চেষ্টা করে। তাঁদের ক্যাম্পাসের গেইটে অবস্থানরত পুলিশ ট্রাকে তুলে নিতে থাকে। তাই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার জন্য ছাত্রীরা এগিয়ে যায়। ছাত্রীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তৎকালীন জি এস (ডক্টর) শাফিয়া খাতুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন (ডক্টর) সুফিয়া আহমেদ, (অধ্যাপিকা) শামসুন্নাহার আহসান, রওশন আরা বাচ্চু, সারা তৈফুর, মাহফিল আরা, খোরশেদী খানম, সুরাইয়া, (ডক্টর) হালিমা প্রমূখ। সেই মিছিলে ঢাকা শহরের অনেক স্কুল কলেজের ছাত্রীরাও ছিলেন। ছাত্রীদের দ্বারা ১৪৪ ধারা ভাঙা সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ছাত্রদের উত্তাল মিছিল। সে প্রতিবাদী মিছিলে চলে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ ও গুলি।
পুলিশের গুলিতে আবদুল জাব্বার ও রফিকউদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এছাড়া সালাম, আবুল বরকত সহ আরও অনেকে নিহত হয়। অলিউল্লাহ নামে ৮/৯ বছরের এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়। তাছাড়া পুলিশ অনেক লাশ লুকিয়ে ফেলে।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২২ঃ পুলিশের জুলুম ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ‘আজাদ’ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন পরিষদ সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২৩ঃ রাতে ছাত্রদের তাতক্ষনিক চিন্তার ফলে এক রাতের পরিশ্রমে প্রথম শহীদ মিনার গড়ে উঠে।
১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২৬ঃ এই দিনে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন। এই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শহীদ মিনার ভেঙ্গে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়।
১৯৫৬ ফেব্রুয়ারি ২১ঃ বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন মূখ্যমন্ত্রি আবু হোসেন সরকার, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম।
১৯৫৬ সেপ্টেম্বরঃ প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য হিসেবে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম আইন সভায় বাংলা ভাষাকে অবিলম্বে শিক্ষার মাধ্যম ও সরকারি ভাষারূপে চালু করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় গণপরিষদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে শাসনতান্ত্১৯৫৬ সেপ্টেম্বরঃ প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য হিসেবে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম আইন সভায়।

No comments:

Post a Comment